ঝালদা: আদিবাসী কুড়মি সমাজের (Adibasi Kurmi Somaj Protest In Purulia) আন্দোলনে রণক্ষেত্র পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশন (Kotshila Rail Station)। এসটি তালিকাভুক্তির দাবিতে কুড়মি সমাজের ডাকা রেল রোকো ও ডহরছেঁকা কর্মসূচি ঘিরে শনিবার কোটশিলা জংশনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সকাল থেকে প্রশাসনের সক্রিয়তায় পশ্চিমবঙ্গে রেল ও সড়ক অবরোধ কার্যত ভেস্তে গেলেও, ঝাড়খন্ডে একাধিক স্টেশনের কাছে অবরোধে সামিল হন কুড়মিরা। বিকেল তিনটার পর কোটশিলা জংশন ঘিরে ধরে আন্দোলনকারীরা। প্রথমে পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়লে আন্দোলনকারীরা রেললাইনের পাথর তুলে পাল্টা হামলা চালায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে পাথরবৃষ্টি চলার পর পুলিশ অবরোধকারীদের রেললাইন থেকে হটিয়ে দেয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী | বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাব না মানায় ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন
পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশনে হাতে হলুদ পতাকা নিয়ে কুড়মি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। বিকেলে আন্দোলনকারী হঠাৎই ঢুকে পড়ে স্টেশনে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের স্টেশন চত্বর খালি করার কথা বলে। তারপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করতেই তুলকালাম বেঁধে যায়। চোখের নিমেষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা স্টেশন চত্বর। পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশন পুলিশ-আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই সাংঘাতিক হয়ে ওঠে যে তা সামল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয়। আন্দোলনকারীরাও ক্রমাগত পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন।ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। স্টেশন চত্বর এখন খালি করে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে চলছে বিশাল পুলিশবাহিনীর টহলদারি। ধস্তাধস্তি থামিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করা গেলেও থমথমে ভাব এখনও রয়েছে কোটশিলা স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকায়।
অন্য খবর দেখুন